ফটো রিটাচিং শেখার পূর্নাঙ্গ গাইডলাইন

যে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো তাদের শিরোনামঃ
  1. ফটো রিটাচিং (Photo Retouching) কি?
  2. কেনো আমরা শিখবো?
  3. কাদের জন্য উপযুক্ত?
  4. মার্কেটপ্লেসের চাহিদা কেমন?
  5. আয় সম্ভাবনা কেমন?
  6. শিখতে কি কি লাগবে?
  7. ফটো রিটাচিং শিখার পরিপূর্ণ গাইডলাইন।
  8. ফটো রিটাচিং করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু ওয়েবসাইট।
  9. কোথায় কাজ পাবেন?

ফটো রিটাচিং (Photo Retouching)কিঃ

সাধারনত, DSLR দিয়ে ছবি তুললেই তা পরিপূর্ন ছবি হয় না। কালার, আকৃতি, সাইজ সবকিছু আপনার চাহিদামতো পরিবর্তন করতে হয়। মূলত ঐ সকল পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি ছবি কে কাঙ্খিত রুপ দেওয়াকেই ফটো রিটাচিং বলা হয়। ফটো রিটাচিং কি তা ভালোভাবে বুঝার জন্য এই লিংকে ক্লিক করে ছবি গুলি দেখে আসতে পারেন। তাহলেই বুঝে যাবেন ফটো রিটাচিং কেমন হয়ে থাকে।
লিংক:

কেনো আমরা শিখবো?

সহজ কথায় বলা যায় যে, যদি আপনি ছবি নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে ফটো রিটাচিং শিখতেই হবে। ছবিকে প্রান দেওয়াই ফটো রিটাচিং এর প্রধান উদ্দেশ্য। ব্যক্তিগত বা পেশাগত কারনে আপনাকে ফটো রিটাচিং শিখতে হয়। যদি আপনি চান ফটো রিটাচিং এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে অনলাইন ফ্রিলান্সিং করবেন, তাহলেও ফটো রিটাচিং শিখতে পারেন। ফটো রিটাচিং মোটামুটি সহজ কাজগুলির মধ্যে একটি। তাই অনেকে শখের বশেও শিখে থাকে।

কাদের জন্য উপযুক্তঃ

যাদের ছবি নিয়ে আগ্রহ বেশি কিংবা যারা ফটোগ্রাফীতে বেশি আগ্রহী তারা ফটো রিটাচিং শিখতে পারেন। যেহেতু, ছবি ব্যাপারটাই কালারের মিশ্রনে হয়ে থাকে, সেহেতু যারা কালারফুল মাইন্ডের তাদের জন্যই এই পেশাটি বেশি উপযুক্ত।

মার্কেটপ্লেসের চাহিদা কেমন?:

এক কথায় প্রচুর চাহিদা রয়েছে ফটো রিটাচিং এর। পৃথিবীতে ছবির পরিমান দিন দিন বৃদ্বি পাচ্ছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে, ভালো কাজ জানা থাকলে প্রচুর পরিমান কাজ পাওয়া যায় ফটো রিটাচিং এর উপর।

আয় সম্ভাবনা কেমন?:

একটা গড় হিসাব দিতে গেলে বলতে হয় যে, শুরুতে আপনার ইকটু কম আয় হবে। নিজের একটা অবস্থান তৈরি করতে পারলে ও ক্লায়েন্ট ম্যানেজম্যান্ট করতে পারলে আপনি অনাআসেই মাসে ৫০০ ডলার আয় করতে পারেন ফটো রিটাচিং এর মাধ্যমে। তবে সাধারনত, প্রতিটি ছবির জন্য আপনি ২ ডলার থেকে ৫ ডলার আয় করতে পারবেন খুব সহজেই। আর ফটো রিটাচিং এর ক্ষেত্রে মূলত একসাথে ২০০-৫০০ ছবির কাজ পাওয়া যায় যা অন্য কোন সেক্টরে সাধারনত পাওয়া যায় না।

শিখতে কি কি লাগবে?:

আপনার একটি ভালোমানের পিসি লাগবে। আমি পরামর্শ দিবো অন্তত কোর আইথ্রি প্রসেসরের কম্পিউটার নিয়ে কাজ শুরু করার জন্য। আপনার সামর্থ অনুযায়ী আপনি সর্বোচ্চ মানের কম্পিউটার কিনে নিবেন। এইখানে ক্লিক করে আপনি কম্পিউটারের বেসিক গাইডলাইন পাবেন। সাধারন কম্পিউটার
তার পর আপনার লাগবে Adobe Photoshop এর সফটওয়ার। আপনি চাইলে বাজার থেকে Adobe Photoshop CC এই সফটওয়ার এর সিডি কিনতে পাবেন। এটি কিনে ইনষ্টল করে নিবেন। অনলাইন থেকেও ডাউনলোড করা যায়।


তার পর আপনার দরকার হবে কিছু ফটোশপের প্লাগিন। নিচে গুরুত্বপূর্ন ওয়েব সাইটের লিংকের অংশে আমি প্লাগিনের লিংক দিয়ে দিয়েছি।
যদি আপনার একটি DSLR থাকে, তবে তা আপনার জন্য অনেক ভালো হবে। শিখার গতি বাড়িয়ে দিবে। না থাকলেও সমস্যা নাই।

তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে আপনি ফটো রিটাচিং শিখতে পারেনঃ

প্রথমেই আপনাকে শিখতে হবে Adobe Photoshop. এই সফটওয়ারের সাহায্যেই আপনি সকল কাজ করবেন। যেহেতু, অনেক ধরনের টুলসের সমন্বয়ে এই সফটওয়ার কাজ করে থাকে সেহেতু নতুনদের জন্য একটু ঝামেলার মনে হতে পারে। তবে প্রথম ১ সাপ্তাহ ভালোমতো প্র্যাকটিস করলেই সবকিছু আয়ত্বে এসে যাবে। তাহলে চলুন জেনে নেই, কিভাবে ফটোশপের বেসিক চুলস সম্পর্কে জানবেন।

বেসিক জিনিসগুলি জানার পর আপনাকে শিখতে হবে ফটেশপের কালার কারেকশন ও বেসিক রিটাচিং। মূলত আপনি কাজ করতেই করতেই ধীরে ধীরে এক্সপার্ট হয়ে ওঠবেন ও বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার জানতে পারবেন। নিচের লিংক থেকে আপনি একে একে শিখতে পারেন।
Photoshop Retouching & Color Effect Tutorial Playlist:

Photo Color Correction Tutorial Playlist:

Photo Manipulation Tutorial Playlist:

Creative Photo manipulation Tutorial Playlist:

Photoshop manipulation tutorials and Photo effects Playlist:

Splatter | dispersion photomanipulation Playlist:

CB Edit Photoshop Tutorial Playlist:

Abstract Art tutorial Playlist:

Digital Art Tutorial:

=> Photoshop Movie Poster Design Tutorial:

এই ভিডিওগুলি আপনি দেখে দেখে প্রাকটিস করলে আপনার আর কোন ভয় থাকবে না। মোটামোটি ফটো রিটাচিং নিয়ে ভালো একটা ধারনা পেয়ে যাবেন।

ফটো রিটাচিং করার জন্য গুরুত্বপূর্ন কিছু ওয়েবসাইটঃ
——————————————————————

আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন এবং আপনার DSLR না থাকে কিন্তু আপনি শিখতে চান তাহলে নিচের লিংক থেকে আপনি ইচ্ছামতো ফ্রি RAW ইমেজ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

আরো অনেক মডেলের ক্যামেরার ছবি আছে। এই লিংক থেকে আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। 🙂 ডাউনলোড করে ইডিটিং করে শিখতে পারবেন।

ফটোশপের কিছু গুরুত্বপূর্ন প্লাগিন আছে যা আপনার কাজকে অনেক সহজ করে দিবে। নিচের লিংক থেকে Google Nik Collection প্লাগিনটি ডাউনলোড করতে পারেন।

এই ওয়েবসাইটটি মূলত ফটোশপের Brush, Plug-ins, Textser, Pattern and Filter এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি ওয়েবসাইট।

কিছুটা এডভান্স হওয়ার পর আপনি এখান থেকে অনেক ভালো মানের শিক্ষনীয় টিওটোরিয়াল পাবেন। এবং যে সকল ছবি দিয়ে কাজ করা হয় সে সকল ছবিও এখান থেকে ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারবেন।

এখান থেকে আপনি অসংখ্য ফ্রি ইমেজ ডাউনলোড করতে পারবেন।

আপনার নিজের করা কাজের পোর্টফোলিও আপনি এই ওয়েবসাইটে রাখতে পারেন। এতে আপনার ক্লায়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।

আপনার তোলা এবং আপনার ইডিট করা ছবি আপনি Flickr এ শেয়ার করতে পারবেন। মূলত, একজন মানুষ কত ভালো মানের ইডিটর কিংবা ফটোগ্রাফার তা তার Flickr এর প্রোফাইল দেখলেই ধারনা করা হয়।

আপনার ছবি শেয়ার করা ও ছবি থেকে ইনকাম করার আরো একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো 500px.com

—————————————————————————–

কোথায় কাজ পাবেনঃ

আপনি ভালো মানের ফটো ইডিটির করতে পারলে কাজের ক্ষেত্র অনেক। আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল খুলে বিদেশী বায়ারদের থেকে কাজ পেতে পারেন নিচের ওয়েবসাইটগুলির মাধ্যমে।
উপরের গুলি হলো ফ্রিলান্স মার্কেটপ্লেস। তবে আপনি যদি আপনার পোর্টফোলিও ওয়েবসাইটগুলিতে পোর্টফোলিও ভালোমতো বানাতে পারেন তবে আপনি অনেক বড় বড় বাজেটের কাজ পাবেন। আপনি চাইলে বাংলাদেশের লোকাল কাজও করতে পারবেন। তবে বাংলাদেশের কাজ করা রীতিমতোই ঝামেলাপূর্ন ও কাজের পারিশ্রমিক কম পাওয়া যায়। তাই ইন্টারন্যাশনাল কাজ করাই ভালো।

কৃতজ্ঞতাঃ (যিনি এ সকল তথ্য দিয়েছেন:)

Hass Hasib
Freelancer and Professional Photo Retoucher
Owner of Hass Hasib Youtube Channel (With 60,000+ Subscribers)